Pregnancy Journey
3 November 2023 আপডেট করা হয়েছে
গর্ভাবস্থা হলো জীবনের এমন একটি ঘটনা, যখন মায়ের শরীরে উল্লেখযোগ্য শারীরবৃত্তীয় সামঞ্জস্যগুলি ঘটে। ভ্রূণের বৃদ্ধির শেষ লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোজন ঘটে। ডিম্বস্ফোটনের সময় ডিম্বাশয় থেকে বের হওয়ার পরে ডিম্বাণুকে যখন কোনও শুক্রাণু নিষিক্ত করে, তখন গর্ভাবস্থা ঘটে। তারপরে নিষিক্ত ডিম্বাণুগুলি জরায়ুতে চলে যায়, যেখানে ইমপ্লান্টেশন ঘটে এবং এর ফলে গর্ভাবস্থা হয়।
বেশিরভাগ লোকের ক্ষেত্রেই, কখন প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো উচিত তা সিদ্ধান্ত নেওয়া উদ্বেগজনক হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে তা চিন্তার কারণও হতে পারে, কারণ আপনি কখনও গর্ভবতী হতে চান বা কখনও হতে চান না। আপনার সঠিক রিডিং পাওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক করার জন্য, সঠিক সময়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানো গুরুত্বপূর্ণ।
মিস হওয়া পিরিয়ড-এর এক সপ্তাহ পরের সময় প্রেগন্যান্সি টেস্ট করানোর সেরা সময়। কিছু পরীক্ষা সহবাসের এক বা দুই সপ্তাহ পরে গর্ভাবস্থা সনাক্ত করতে পারে। তবে এইচ.সি.জি-এর মাত্রা বৃদ্ধির জন্য শরীরের সময় প্রয়োজন। আপনি যদি মিস হওয়া পিরিয়ড-এর আগেই টেস্ট করেন তবে ফলস নেগেটিভ ফলাফলের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এক্ষেত্রে সর্বদা ত্রুটির সম্ভাবনা থাকে, এমনকি সবচেয়ে কার্যকর জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও, যেহেতু একটি ডিম্বাণু নিষিক্ত করতে শুধুমাত্র একটি শুক্রাণুর প্রয়োজন। আপনি গর্ভবতী কিনা তা জানা ওভার-দ্য কাউন্টার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার মতোই সহজ। প্রেগন্যান্সি টেস্ট-গুলি সাধারণত হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (এইচ.সি.জি) নামক হরমোন-এর উপস্থিতির জন্য আপনার প্রস্রাবকে পরীক্ষা করে। আপনি যদি গর্ভবতী হন, সেক্ষেত্রেই এটি আপনার প্রস্রাবে উপস্থিত থাকে। এই হরমোন-টি তখনই নির্গত হয় যখন কোনও নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুর বাইরে বা আপনার জরায়ুর আস্তরণের সাথে সংযুক্ত হয়।
টেস্ট-এর জন্য প্রস্রাব সংগ্রহ করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি যে টেস্ট-টি করাতে চান তার উপর নির্ভর করে আপনাকে এমনটি করতে হতে পারে:
• একটি কাপে প্রস্রাব সংগ্রহ করুন এবং কাপের তরলে একটি টেস্টিং স্টিক ডুবিয়ে রাখুন।
• একটি কাপে প্রস্রাব সংগ্রহ করুন এবং একটি বিশেষ পাত্রে অল্প পরিমাণে সেই তরল সরানোর জন্য একটি আইড্রপার ব্যবহার করুন।
• টেস্টিং স্টিক-টি প্রত্যাশিত প্রস্রাব প্রবাহে রাখুন যাতে এটি প্রস্রাবের মূলধারায় ধরা পড়ে।
মিস হওয়া পিরিয়ড-এর পরে করা হলে, বেশিরভাগ টেস্ট-ই 99 শতাংশ কার্যকর হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো বিষয়টি হলো আপনি নিজের বাড়ির গোপনীয়তায় প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। শুধুমাত্র টেস্টিং কিট-টি খুলুন, নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং ফলাফল দেখার জন্য প্রস্তাবিত সময়ের অপেক্ষা করুন। প্রস্তাবিত সময়কাল পেরিয়ে যাওয়ার পরে, টেস্টিং কিট-টি নিম্নলিখিত ফলাফলগুলির মধ্যে যেকোনো একটি প্রদর্শন করতে পারে:
• রঙের পরিবর্তন
• একটি লাইন
• একটি যোগ বা বিয়োগ চিহ্ন
• 'গর্ভবতী' বা 'গর্ভবতী নয়' শব্দগুলি।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সর্বোত্তম সময় হলো আপনার পিরিয়ড মিস হওয়ার এক সপ্তাহ পরে, কারণ এমনটি ফলস নেগেটিভ ফলাফল এড়াতে এবং আরও সঠিক ফলাফল পেতে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার পিরিয়ড মিস না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না চান তবে আপনার যৌন মিলনের পর কমপক্ষে এক বা দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করা উচিত। আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে সেক্ষেত্রে সনাক্তযোগ্য এইচ.সি.জি স্তর বিকাশের জন্য আপনার শরীরের সময় প্রয়োজন। গর্ভাবস্থার খবরটি পেতে সাধারণত ডিম্বাণুর সফল ইমপ্লিমেন্টেশন-এর পরে সাত থেকে বারো দিন সময় লাগে।
যদি আপনার মাসিকচক্র অনিয়মিত হয় বা আপনি আপনার মাসিকচক্রের সময়কাল জানেন না, তবে দীর্ঘতম মাসিক চক্রটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও টেস্ট করবেন না।
যাইহোক, এখানে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা লক্ষ্য করলে আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা উচিত:
• ফুলে যাওয়া এবং কোমল স্তন(Swollen and tender breasts): স্তনে ব্যথা বা কাতরতা গর্ভাবস্থার অন্যতম সাধারণ লক্ষণ। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে, স্তনগুলি দুধ উৎপাদন করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সাথে সাথে সমৃদ্ধ হয় এবং আকার পরিবর্তন করে। কয়েক মাসের জন্য, আপনার স্তন কোমল এবং সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। আপনার অ্যারিওলা-গুলি কালো এবং বড় হতে শুরু করতে পারে। এই ব্যথা অস্থায়ী, এবং একবার আপনার শরীর হরমোন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, সেই ব্যথা ম্লান হয়ে যায়। আপনি আরও দেখতে পাবেন যে, আপনার স্তনগুলি বড় হয়ে গেছে এবং আপনার ব্রা স্বাভাবিকের চেয়ে টাইট হচ্ছে।
• একটি মিস হওয়া পিরিয়ড(A Missed period): এটি সবচেয়ে সাধারণ এবং সুস্পষ্ট লক্ষণ যা আপনি এক্ষেত্রে আশা করতে পারেন। আপনার শরীর হরমোন উৎপাদন করে যা গর্ভধারণের পরে ডিম্বস্ফোটন এবং জরায়ুর আস্তরণকে বন্ধ করে দেয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, মাসিকচক্র বন্ধ হয়েছে এবং আপনার শিশুর জন্ম না হওয়া পর্যন্ত আপনার আর পিরিয়ড হবে না। তবে, আপনার পিরিয়ড মিস করা সবসময় গর্ভাবস্থার লক্ষণ নয়। অতিরিক্ত চিন্তা, অতিরিক্ত ব্যায়াম, ডায়েটিং, হরমোন-এর ভারসাম্যহীনতা এবং অন্যান্য কারণগুলিও পিরিয়ড মিস করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে যা অনিয়মিত পিরিয়ড-এর কারণও হতে পারে।
• ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া(Frequent trips to the bathroom): আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে, পিরিয়ড মিস করার আগেই আপনার প্রায়শই প্রস্রাবের জন্য বাথরুম যেতে হচ্ছে। এমনটি ঘটে কারণ আপনার শরীরে আগের চেয়ে রক্তের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। গর্ভাবস্থায় আপনার দেহে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। যেহেতু, আপনার কিডনি রক্ত ফিল্টার করে এবং প্রস্রাবের আকারে অতিরিক্ত বর্জ্য অপসারণ করে। তাই, আপনার শরীরে রক্তের মাত্রা বেশি থাকায় আপনাকে আরও বেশি প্রস্রাব করতে হয়।
• ক্লান্তি(Fatigue): গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে অনেকেই অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করেন। এমনটি উচ্চ মাত্রার প্রোজেস্টেরন হরমোন-এর কারণে ঘটে। গর্ভাবস্থার অন্যান্য প্রাথমিক লক্ষণগুলির মতো দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ক্লান্তি বাড়তে থাকে। তবে, তা আবার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি পায়।
• মর্ণিং সিকনেস(Morning sickness): গর্ভাবস্থার এই লক্ষণটি, এই নাম হওয়া সত্ত্বেও দিনে বা রাতে যে কোনও সময় ঘটতে পারে। গর্ভাবস্থার দুই সপ্তাহের মধ্যেই গা গোলানো শুরু হয়। গা গোলানো-এর বিভিন্ন স্তর রয়েছে এবং সবাই এটি অনুভব করে না। যদিও আপনি গা গোলানোভাব অনুভব করেন, তবে আপনি কখনই বমি করেন না। যদিও গর্ভাবস্থায় গা গোলানো মোটামুটি স্বাভাবিক, তবে ডিহাইড্রেটেড হলে তা একটি সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা যারা চরম গা গোলানোর কারণে খাবার এবং তরল খেতে পারেন না তাদের হাইপারমেসিস গ্রাভিডারাম নামে একটি সমস্যা থাকতে পারে। আপনি যদি চরম গা গোলানো এবং ডিহাইড্রেশন অনুভব করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
প্রাথমিক গর্ভাবস্থার কিছু অতিরিক্ত লক্ষণগুলি সাধারণ নয় এবং অনেক লোকের ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটতে পারে বা নাও পারে। এটি মনে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রত্যেকে গর্ভাবস্থায় আলাদা এবং বিভিন্ন লক্ষণ অনুভব করে। কিছু সাধারণ নয় এমন লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
• স্পটিং(Spotting): এটিকে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং-ও বলা হয় এবং যদিও এটি একটি খারাপ ইঙ্গিত বলে মনে হতে পারে, স্পটিং, একটি ভ্রূণের জরায়ুর আস্তরণে ইমপ্লিমেন্ট-এরও লক্ষণ হতে পারে। ইমপ্লান্টেশন সাধারণত গর্ভধারণের প্রায় দশ দিন পরে ঘটে। সামান্য রক্তের ফোঁটা বা যোনি থেকে বাদামী ডিসচার্জ, ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং-এর মতো দেখায়। এমনটি সাধারণত আপনার নিয়মিত পিরিয়ড-এর সময় শুরু হয় এবং কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কিছু লোকেরা মনে করেন যে, তাদের হয়তো শুধুমাত্র হালকা পিরিয়ড হয়েছে এবং স্পটিং ধরা পড়লেও তারা গর্ভবতী নয়।
• খাবারের আকাঙ্ক্ষা, ক্রমাগত খিদে পাওয়া এবং খাবারের প্রতি বিরক্তি(Food cravings, constant hunger and food aversions): গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে, খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা হতে পারে। অনেক গর্ভবতী মহিলারা নির্দিষ্ট কিছু খাবারের আকাঙ্ক্ষা করতে শুরু করেন বা ক্রমাগত ক্ষুধার্ত বোধ করেন। যদিও কিছু খাবার অপ্রীতিকর বলেও মনে হতে পারে, আবার কিছু খাবারের স্বাদ এবং স্বাদ গর্ভাবস্থায় চমৎকার বলে মনে হতে পারে। গর্ভাবস্থায় খাবারের প্রতি বিরক্তি প্রকাশও সাধারণ, যেখানে আপনি পূর্বে উপভোগ করা খাবারগুলি অপছন্দ করতে পারেন।
• মাথা ব্যথা এবং মাথা ঘোরা(Headaches and dizziness): গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে মাথা ব্যথা এবং হালকা মাথা ঘোরানো সাধারণ। এমনটি আপনার দেহে হরমোন-জনিত পরিবর্তন এবং আপনার রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে ঘটে।
• ব্যাথা(Cramping): কিছু মহিলারা হালকা, পিরিয়ড-এর মতো ক্র্যাম্প অনুভব করে যা কয়েক দিনের জন্য হয় এবং সেরেও যায়। যাইহোক, এই ক্র্যাম্প প্রধানত আপনার দেহের একপাশে অনুভূত হয় এবং গুরুতর হতে পারে। এমনটি অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থা বা অন্যান্য জটিলতার লক্ষণও হতে পারে, তাই আপনার ডাক্তারের সাথে এই বিষয়ে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
• মেজাজের পরিবর্তন(Mood swings): আপনার হরমোন-জনিত পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনি মেজাজের পরিবর্তনও অনুভব করতে পারেন। এমনটি গর্ভাবস্থায় ঘটতে পারে এবং এটি স্বাভাবিক। আপনি যদি কখনও উদ্বিগ্ন, হতাশাগ্রস্ত বোধ করেন বা নিজের ক্ষতি করার চিন্তাভাবনা করেন তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
• পূর্ণতা(Congestion): হরমোন-এর মাত্রা এবং রক্তের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে কিছু মহিলারা গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে নাক বন্ধের সমস্যা অনুভব করে। এই সময় আপনার নাকের মিউকাস মেমব্রেন শুকনো হয়ে যায়, যার ফলে আপনার রক্তক্ষরণ হয়।
• ফোলাভাব(Bloating): লক্ষণীয় বেবি বাম্প পেতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় লাগতে পারে। তবে হরমোন-গুলির উত্থানের ফলে আপনার পেট ফুলে যেতে পারে এবং স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গ্যাস হতে পারে।
• ব্রণ বা ত্বকের পরিবর্তন(Acne or skin changes): আপনি যে ত্বকের পরিবর্তনগুলি অনুভব করেন তা হরমোন এবং রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে ঘটে। যদিও কিছু মহিলাদের ব্রোণো হতে পারে, তবে সাধারণত গর্ভবতী মহিলারা গর্ভাবস্থায় উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার ত্বক পেতে পারেন।
আপনি যে দিনের যে সময় প্রেগন্যান্সি টেস্ট করেন তা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সকালে টেস্ট করেন তবে আপনার সঠিক ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি সঠিক, যদি আপনার পিরিয়ড হতে এখনও দেরী না হয় বা মাত্র কয়েক দিন দেরি হয়। বাড়িতে করা প্রেগন্যান্সি টেস্ট, আপনার প্রস্রাবে এইচ.সি.জি হরমোন-এর মাত্রা খুঁজে বার করে। আপনি যখন সকালে প্রথম জেগে ওঠেন তখন আপনার প্রস্রাব বেশি ঘনীভূত হয় যদি না আপনি ঘন ঘন প্রস্রাব করার জন্য রাতে ওঠেন। আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে আপনার পজিটিভ ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যার অর্থ এইচ.সি.জি-এর অনুপাত সেক্ষেত্রে কিছুটা বেশি। যদিও, আপনি দিনের মাঝামাঝি বা রাতেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনার ফলস নেগেটিভ ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, বিশেষত যদি আপনি আরও বেশি জল পান করেন এবং আপনার প্রস্রাব পাতলা হয়।
বেশিরভাগ প্রেগন্যান্সি টেস্ট-গুলি আপনার মিস হওয়া পিরিয়ড-এর দিনে 99% নির্ভুলতা দাবি করে, তবে প্রাথমিক ফলাফলের ক্ষেত্রে নয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি বুধবার আপনার পরবর্তী পিরিয়ড আশা করছেন তবে বৃহস্পতিবার আপনার মিস হওয়া পিরিয়ড-এর দিন হবে এবং আপনার মিস হওয়া পিরিয়ড-এর পরে পরীক্ষাটির ফলাফলের সম্ভাবনা আরও সঠিক হতে থাকে। বিভিন্ন বিষয় প্রেগন্যান্সি টেস্ট-এর নির্ভুলতাকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে কয়েকটি হল:
• আপনার মাসিকচক্র চলাকালীন, যদি আপনি টেস্ট করেন
• ডিম্বস্ফোটনের মুহূর্ত
• আপনি নির্দেশাবলী কতটা সঠিকভাবে অনুসরণ করেন
• আপনি যে দিনটিতে টেস্ট করেন তার সময়কাল
আপনার মিস হওয়া পিরিয়ড-এর আগে একটি টেস্ট করার আগে উপকারিতা এবং অসুবিধাগুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এমনটি আপনাকে ভুল ফলাফল দিতে পারে এবং কিছু লোকের ক্ষেত্রে এমনটি ব্যয়বহুলও হতে পারে।
উপকারিতাগুলির মধ্যে রয়েছে:
• পজিটিভ ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা।
• যদি টেস্ট-টির ফলাফল পজিটিভ হয় তবে তা দুই সপ্তাহের লম্বা অপেক্ষার সময়ের চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি দেয়।
• আপনার যদি ওষুধ বা অন্যান্য হস্তক্ষেপ শুরু বা বন্ধ করার প্রয়োজন হয় তবে সেক্ষেত্রে উপকারী।
• এমনটি আপনাকে তৎক্ষণাৎ জীবনযাত্রায় সামঞ্জস্য আনার সু্যোগ দেয়।
অসুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে:
• ফলস নেগেটিভ ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
• নেগেটিভ ফলাফলের কারণে হতাশ বোধ করা।
• এটি ব্যয়বহুল হতে পারে।
• এইচ.সি.জি ট্রিগার শট-গুলির সঙ্গে সঠিক নয়।
কিছু লোকেরা বিস্মিত হয় যে, গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তাদের রক্ত পরীক্ষা করা উচিত কিনা। আপনি নিজেই পরীক্ষাটি করার কথা ভাবতে পারেন বা আপনার ডাক্তার এটির পরামর্শ দিতে পারেন। তবে রক্ত পরীক্ষা করার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নিতে হবে। দুটি প্রেগন্যান্সি ব্লাড টেস্ট রয়েছে:
• গুণগত প্রেগন্যান্সি টেস্ট(Qualitative pregnancy tests): এই পরীক্ষাগুলি আপনার রক্ত বা প্রস্রাবে এইচ.সি.জি উপস্থিত রয়েছে কিনা তা পরিমাপ করে। যখন আপনার দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রেগন্যান্সি হরমোন থাকে, তখন এটি সঠিকভাবে এবং সরাসরি পজিটিভ ফলাফল দেয়। সাধারণত, হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট-গুলি গুণগত হয়।
• পরিমাণগত প্রেগন্যান্সি টেস্ট(Quantitative pregnancy tests): এই পরীক্ষাগুলি আপনার রক্তে এইচ.সি.জি-এর অনুপাত পরিমাপ করে এবং এটিকে বিটা এইচ.সি.জি টেস্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই পরীক্ষাগুলি সাধারণত গর্ভাবস্থা কীভাবে অগ্রসর হচ্ছে তা পরীক্ষা করার জন্য করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, এইচ.সি.জি স্তর প্রত্যাশা হিসেবে বাড়ছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আপনার ডাক্তার কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি বিটা এইচ.সি.জি টেস্ট করার পরামর্শ দিতে পারেন। আপনার যদি গর্ভপাতের ইতিহাস থেকে থাকে, গর্ভধারণে সমস্যা হয় বা অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থা রয়েছে বলে সন্দেহ থাকে, তবে সেক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
যদি আপনার পিরিয়ড বেশ কয়েক দিন দেরিতে হয় এবং আপনি তখনও বাড়িতে নেগেটিভ প্রেগন্যান্সি টেস্ট-এর ফলাফল পেয়ে থাকেন তবে সেক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। আপনি গর্ভবতী হলেও বাড়িতে নেগেটিভ টেস্ট-এর ফলাফল পেতে পারেন, তবে এমনটি বিরল। যাইহোক, শুধুমাত্র একটি টেস্ট করার থেকেও আপনার ডাক্তারকে ফোন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু, গর্ভাবস্থা ছাড়াও অন্যান্য কারণেও আপনার পিরিয়ড দেরিতে হতে পারে। নির্বিশেষে, আপনি গর্ভবতী কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আপনার রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। যদি আপনার বাড়িতে টেস্ট-এর ফলাফল বলে যে আপনি গর্ভবতী, তাহলে আপনি সম্ভবত গর্ভবতী।
গর্ভাবস্থার খবরটি পেতে, আপনার প্রত্যাশিত পিরিয়ড-এর পরের দিন এবং সকালে আপনার দিনের প্রথম প্রস্রাবের সাথে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, গর্ভাবস্থার খবরটি পেতে ডিম্বাণুর সফল ইমপ্লিমেন্টেশন-এর পরেও সাত থেকে বারো দিন সময় লাগে।
যাইহোক, আগে থেকে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার আগে, ফলাফল নেগেটিভ হলে আপনি কেমন বোধ করবেন তা বিবেচনা করুন। আপনি যদি গর্ভবতী হন তবে তা নিশ্চিতকরণের জন্য উপরে উল্লিখিত লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি দেওয়া রয়েছে। তবে অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার কারণেও অনেক লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সুতরাং, আপনি যদি মনে করেন যে কিছু ভুল রয়েছে তবে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা ভালো।
How Can I Get Pregnancy News in Bengali, How does Pregnancy Test work in Bengali, How Soon Can You Take A Pregnancy Test in Bengali,Some Less Common Signs Of Early Pregnancy in Bengali, Best Time Of The Day To Take A Pregnancy Test in Bemgali, How Accurate Are Pregnancy Tests in Bengali, Efficacy Of Early Testing in Bengali, When To Get A Blood Pregnancy Test in Bengali, When Is A Blood Test Used in Bengali
Yes
No
Written by
Atreyee Mukherjee
Get baby's diet chart, and growth tips
গর্ভাবস্থায় বিপিডি কি? | What is BPD in Pregnancy in Bengali
বেবি গার্ল বেলি বনাম বেবি বয় বেলি: আপনার পেটের গঠন বা আকার কি বলতে পারে আপনার একটি ছেলে জন্ম নিতে চলেছে কিনা? | Baby Girl Belly Vs Baby Boy Belly in Bengali
গর্ভাবস্থায় হলুদযুক্ত দুধ: উপকারিতা এবং প্রভাব | Turmeric Milk during Pregnancy: Benefits and Effects in Bengali
গর্ভাবস্থায় পোস্ত দানা: অর্থ, উপকারিতা ও ঝুঁকিসমূহ | Poppy Seeds During Pregnancy: Meaning, Benefits & risks in Bengali
গর্ভাবস্থায় মৌরি: উপকারিতা, ঝুঁকি এবং পুষ্টিগুণ | Fennel Seeds During Pregnancy: Benefits, Risks & Nutritional Value in Bengali
গর্ভাবস্থায় বিটরুট: উপকারিতা, ঝুঁকি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া | Beetroot in Pregnancy: Benefits, Risks and Side Effects in Bengali
Mylo wins Forbes D2C Disruptor award
Mylo wins The Economic Times Promising Brands 2022
At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:
baby test | test | baby lotions | baby soaps | baby shampoo |