Safety & Care
3 November 2023 আপডেট করা হয়েছে
গর্ভাবস্থা যে-কোনও মহিলার জন্যই জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তবে, এই সময় শরীরের বেশিরভাগ প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা চলে যায় এবং সামান্য ক্ষতিকারক বিষয় থেকেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে যদি আগে থেকেই কোনও শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে চিকিৎসাগতভাবে নিশ্চিত গর্ভাবস্থার মধ্যে প্রায় 15% ঘটনায় শিশু বাঁচে না এবং প্রত্যেক দ্বিতীয় সন্তানসম্ভবা মহিলার ‘গর্ভস্রাবের আশঙ্কা’ থাকে। এই ঘটনার কারণ হিসাবে বহু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই দাবি করেন যে কিছু খাবার গর্ভস্রাব ঘটায়।
গর্ভস্রাব বা মিসক্যারেজ গর্ভাবস্থার অনৈচ্ছিক সমাপ্তি, যা প্রথম 20 সপ্তাহের মধ্যে ঘটতে পারে, যখন ভ্রূণের ওজন 500 গ্রামের থেকে বেশি হয় না। 80%-এর থেকে বেশি গর্ভস্রাব প্রথম 12 সপ্তাহের মধ্যেই ঘটে। এই সময় ভ্রূণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রাথমিক বিকাশ শুরু হয় এবং সেই কারণে এই সময় যে-কোনও প্রভাব ক্ষতিকারক হতে পারে। প্রায়শই মহিলা নিজেই তাঁর গর্ভাবস্থা সম্বন্ধে জানতে পারেন না এবং মাসিক চক্রের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে তাঁর রক্তপাতও হয়। এই অবস্থা খুবই ভয়ঙ্কর এবং এর ফলে ভ্রূণ থেকে অসম্পূর্ণ নিষ্কাশনে গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
যদি 22 সপ্তাহের পরে গর্ভস্রাবের ঝুঁকি দেখা যায়, সেক্ষেত্রে শিশুর জন্ম নির্ধারিত সময়ের আগে হয় এবং তার ওজন 650 গ্রামের থেকে বেশি হয়।
যোনি থেকে রক্তপাত হলে তা গর্ভাবস্থায় মিসক্যারেজের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। সেটির তীব্রতা, সময়কাল ও বর্ণ যাই হোক না কেন, এই লক্ষণের জন্য তখনই আপনার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
দু’টি পায়ের খাঁজে বা কুঁচকিতে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি থেকে বোঝা যায় যে ইউটেরাইন হাইপারটনিসিটি আছে এবং শরীর বেড়ে ওঠা ভ্রূণটিকে সরাতে চাইছে।
রক্তপাত ও অস্বস্তি কম তীব্র হলেও এই ধরনের লক্ষণকে কখনই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। যদি সন্তানসম্ভবা মহিলার কোনও দুঃখজনক ডায়াগনসিস হয়, তাহলে ডাক্তারের কাজ হল সুরক্ষিত সময় পর্যন্ত গর্ভাবস্থা বজায় রাখার জন্য যা কিছু সম্ভব, তা করা।
ভালভাবে জীবনযাপনের জন্য এমন কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন, যেগুলি গর্ভপাতের কারণ, তা সে যতই সুস্বাদু হোক না কেন। আপনি গর্ভাবস্থায় কী খান, সে-বিষয়েও যত্নশীল হওয়া উচিত। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও অ্যালকোহল, অন্যান্য খাবার, যেমন কাঁচা মাছ, ভাজা খাবার, অর্ধেক রান্না করা মাংস, ভালভাবে না ধোয়া ফল ও সবজির মতো ক্ষতিকারক জিনিস এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এগুলি সংক্রামক হয়ে শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
সুতরাং, এমন খাবার খান, যেগুলি ভালভাবে রান্না করা এবং পুষ্টিগুণে ভরা; যেগুলির মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ, যেমন ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন A ও C থাকে। এছাড়াও নীচে আমরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তালিকাভুক্ত করেছি যেগুলি গর্ভাবস্থায় গর্ভস্রাব ঘটাতে পারে বলে এড়িয়ে যেতে হবে। তাহলে, দেখে নেওয়া যাক!
এছাড়াও, কিছু কাঁচা খাবার, যেমন সুশি ও অয়েস্টার এবং অর্ধেক রান্না করা খাবার, যেমন মাংস, ডায়েট থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে, কারণ এগুলি লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটিয়ে গর্ভপাত ও অসময়ে প্রসব ঘটাতে পারে অথবা সিস্টিসার্কোসিসের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে মস্তিষ্কের কাজকর্মকে দুর্বল করতে পারে।
তবে, এই সত্যের ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও, আনারসে থাকা ব্রোমেলাইনের পরিমাণ আসলে খুব কম। একজন মহিলাকে কমপক্ষে তাঁর অন্ত্রের শিথিলতার জন্য অনেকটা আনারস খেতে হবে।
কোনও ভাবে, জরায়ুর সংকোচন ঘটানোর সাথে এগুলির সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা আছে। সতর্কতা হিসাবে এগুলি খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা এবং সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভাল।
উপরে উল্লিখিত খাবারগুলি দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে গর্ভস্রাব ঘটায়। এগুলি ছাড়াও অত্যন্ত চাপ, শারীরিক ভারী কাজ ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের ফলে নির্ধারিত সময় ভ্রূণকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে সন্তানসম্ভবা মহিলার শরীরকে অক্ষম করে দেয়। এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ খাওয়ার ফলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অভিজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই অত্যন্ত সুরক্ষিত ভেষজ আগে থেকে ব্যবহার করা উচিত।
খুব বেশি সন্দেহ হলেও তখনই আগে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। শান্ত থাকা ও ভয় না পাওয়া খুব প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার মানসিক শান্তি ও সঠিক সময় ওষুধ গর্ভাবস্থা বাঁচাতে সাহায্য করে।
যদি বোঝেন যে করিয়ন অর্থাৎ ভ্রূণের পর্দা, যেটির মাধ্যমে ভ্রূণ জরায়ুর দেওয়ালে থাকে, সেটি খুলে যাচ্ছে, তাহলে শুয়ে পড়ুন ও অ্যাম্বুলেন্সকে ফোন করুন। এরকম পরিস্থিতিতে নিজে একা চিকিৎসা করাতে যাওয়া অর্থহীন।
ডাক্তার যদি গর্ভস্রাব হওয়ার সম্ভাবনা সন্দেহ করে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সেটি পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং আশঙ্কার মাত্রাও বোঝা যাবে। প্রথমেই ডাক্তার ক্রমশ বেড়ে ওঠা ভ্রূণের হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করবেন। আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার মাধ্যমে প্ল্যান্সেন্টা ও ভ্রূণের অবস্থা বোঝা যাবে এবং এটি জরায়ুর গঠনের সম্ভাব্য সমস্যা দেখাবে। গাইনেকোলজিস্ট পরীক্ষা করে টোনের উপস্থিতি নির্ধারণ করতে পারবেন।
আমরা কোন খাবারগুলি গর্ভপাত ঘটাতে পারে তা জানলেও উপরে লেখা বেশিরভাগ খাবার ও সাপ্লিমেন্ট, যেগুলি প্রসব যন্ত্রণা শুরু করাতে পারে, সেগুলির ক্ষেত্রে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
প্রত্যক্ষ সংক্রমণের ক্ষেত্রে এগুলির পরিমাণ সীমিত রাখুন ও খাওয়া এড়িয়ে যান। অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি না নিয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই খাবারগুলি খেয়ে প্রসব যন্ত্রণা করানোর সিদ্ধান্ত আপনার ব্যক্তিগত। তবে, আমরা আপনাকে এমন খাবার খেতে বলি, যেগুলির কোনও ঝুঁকি নেই। অন্যান্য খাবার, যেমন চকোলেটও অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। প্রধান বিষয় হল নিজের শরীর বা নিজের সন্তানের কোনও ক্ষতি না করা। সঠিক সময় ঠিকই আসবে। তাই সম্পূর্ণ শান্তি ও সুস্থতা নিয়ে শান্ত থাকা ও প্রসবের মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করাই শ্রেয়।
Yes
No
Written by
Parna Chakraborty
Get baby's diet chart, and growth tips
গর্ভাবস্থায় বিপিডি কি? | What is BPD in Pregnancy in Bengali
বেবি গার্ল বেলি বনাম বেবি বয় বেলি: আপনার পেটের গঠন বা আকার কি বলতে পারে আপনার একটি ছেলে জন্ম নিতে চলেছে কিনা? | Baby Girl Belly Vs Baby Boy Belly in Bengali
গর্ভাবস্থায় হলুদযুক্ত দুধ: উপকারিতা এবং প্রভাব | Turmeric Milk during Pregnancy: Benefits and Effects in Bengali
গর্ভাবস্থায় পোস্ত দানা: অর্থ, উপকারিতা ও ঝুঁকিসমূহ | Poppy Seeds During Pregnancy: Meaning, Benefits & risks in Bengali
গর্ভাবস্থায় মৌরি: উপকারিতা, ঝুঁকি এবং পুষ্টিগুণ | Fennel Seeds During Pregnancy: Benefits, Risks & Nutritional Value in Bengali
গর্ভাবস্থায় বিটরুট: উপকারিতা, ঝুঁকি এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া | Beetroot in Pregnancy: Benefits, Risks and Side Effects in Bengali
Mylo wins Forbes D2C Disruptor award
Mylo wins The Economic Times Promising Brands 2022
At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:
baby test | test | baby lotions | baby soaps | baby shampoo |