Pregnancy
5 April 2023 আপডেট করা হয়েছে
সম্প্রদায় কথাটির অর্থ হচ্ছে সমষ্টিবদ্ধ কিছু মানুষ যাদের মধ্যে কয়েকটা জিনিস একই রকম হয়ে থাকে; আবার সম্প্রদায় মানে এটাও বোঝায় যখন একটি গ্রুপের একজন অন্য গ্রুপের অন্য কোন সদস্যর থেকে কিছু না কিছু ভাবে আলাদা হয়। তাই বলা যায়, একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে মিল এবং কিছু নতুনত্ব অবশ্যই থাকতে পারে। তেমনি বাঙালি জাতি একটি সম্প্রদায় এবং সেখানে জন্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রথা বা অনুষ্ঠান দেখা যায়।
জন্ম সংক্রান্ত অনুষ্ঠানগুলির অবশ্যই ভাবে একটি সাংস্কৃতিক গুরুত্ব থাকে কারণ এটি একটা সম্প্রদায়ের মিল এবং নতুনত্বকে খুঁজে নিতে সাহায্য করে। এর ফলে যখন একটা পরিষ্কার পার্থক্য দলের মধ্যে দেখা যায়, তখনই সেটা শ্রেণীগত হয়ে যায়; শ্রেণীগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্রত্যেক বাঙালি চেষ্টা করে একই ধরনের প্রথা আচার-আচরণ পালন করতে । প্রথা হচ্ছে এমন একটা শব্দ যেটা সংস্কৃতি, নিয়ম-কানুন, রোজনামচা, প্রত্যেকটি জিনিসকেই নিজের আওতায় এনে ফেলে এবং এভাবেই এটি একটা সমাজের পরিচিতি তৈরি করে। ঠিক সেমনিভাবে জন্ম সংক্রান্ত প্রথাগুলি এটা বুঝতে সাহায্য করে যে, একটি মানুষ কোন সম্প্রদায় বা কোন জাতির অন্তর্গত। এক একটি প্রথার বিভিন্ন ধরনের মানে হতে পারে বা গুরুত্ব থাকতে পারে; কিন্তু সবকিছুর পরেও একটি প্রথা একটি সমাজের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয় কারণ এটি সেই নির্দিষ্ট জাতিটির পরিচিতি অন্যান্য জাতির মধ্যে তুলে ধরে।
সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখলে দেখা যায় আগেকার প্রসবের ধ্যান-ধারণা পদ্ধতি এখনকার ধ্যান-ধারণা দৃষ্টিভঙ্গি বা পদ্ধতি থেকে অনেকটাই আলাদা ঠিক সেরকম ভাবেই বাঙালি প্রথা গুলিও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে । যেমন আগেকার দিনে গর্ভবতী মায়ের প্রসবকালীন সময়ে তাকে আঁকুল ঘরে রাখা হতো এবং ধাই মা তার সবরকম ভালো মন্দের জন্য দায়ী থাকতো; কিন্তু এখন প্রসব সংক্রান্ত পুরো পদ্ধতিটাই ডাক্তারের পরামর্শ মত হাসপাতালে হয় - যেখানে আয়া মাসীরা সারাক্ষণের জন্য ওই মহিলাদের যত্ন বা পরিচর্যা করেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, বাঙালি সমাজে এই প্রসব সংক্রান্ত যাবতীয় কার্য গুলি আগে সামাজিক স্তরে ছিল, কিন্তু সেই গণ্ডি টা খুব ছোট ছিল; কিন্তু এখন সেটা বৃহত্তর সামাজিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। প্রসব সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন গুলির মাধ্যমে একটা শিশুকে সমাজের সদস্য হিসাবে পরিচিত করানো হয়। কিন্তু এই পরিচিতির রকমফের থাকে - অবস্থান, আর্থিক ক্ষমতা, শ্রেণীগত পার্থক্য ইত্যাদির ওপর।
নামকরণের যে প্রথাটি বাঙালি সমাজে প্রচলিত, সেখানে আগেকার দিনে বেশিরভাগই বাঙালি নাম বাচ্চাদের দেওয়া হতো; কিন্তু এখন আধুনিকতার প্রভাবে অনেক সময়ই নামগুলো অবাঙালি হয়ে যায় - যেমন রোহান, শেখার ইত্যাদি; কিন্তু এটা কখনোই প্রতিপন্ন করে না যে বাঙালি সংস্কৃতি সম্পূর্ণরূপে অন্যসংস্কৃতির ওপর নির্ভরশীল বরং এটা বোঝায় বাঙালি সংস্কৃতি নতুনকে আপন করে নিতে জানে এবং যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রথা বা আচারগুলিকে আধুনিক যুগের উপযোগী করে তুলতে পারে।
প্রযুক্তির উন্নতির কারণে শিশুর জন্ম এখন অনেকটাই সহজ এবং বিপদ মুক্ত হয়ে গেছে। আগের দিনে একটা প্রসবের সময় গর্ভবতী মহিলা এবং তার পরিবার যতটা চিন্তিত থাকতেন আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রযুক্তি এবং কাঠামোর আধুনিকতার জন্য ততটা চিন্তাও মানুষের হয় না। তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বেশিরভাগ পরিবারেই একটি সন্তানের জন্ম একটি হাসপাতালেই হয়; আঁতুড় ঘরে ধাইমার তত্ত্বাবধান নয়। খুব পরিষ্কার করে বলতে গেলে বলা যায় বাঙালি সংস্কৃতি সম্পূর্ণভাবে যুগোপযোগী। যেহেতু আগেকার দিনে প্রযুক্তি, কাঠামো কিছুই ছিল না তাই তখন আঁতুড় ঘরে ধাইমার তত্ত্বাবধানে একটি সন্তান জন্ম নিত; কিন্তু যখনই যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সব রকমের সুবিধা উপলব্ধ হয়েছে। তখনই এই জাতিটি সব রকম ভাবেই সেই সুযোগে সদ্ব্যবহার করেছে। তাই আঁতুড় ঘরেরই নবীন সংস্করণ হাসপাতাল এ কথা বলা যেতেই পারে।
এ কথা আগেই বলা হয়েছে যে একটি জাতির অস্তিত্ব মিল এবং নতুনত্বের মধ্যে পাওয়া যায় এই নতুনত্ব নামকরণের ক্ষেত্রে খুব বেশি রকম ভাবে পরিস্ফুট। তাই এখন বাঙ্গালীদের নামে অন্য জাতির প্রভাব পড়ে; কিন্তু কখনোই একথা বলা যায় না যে বাঙ্গালীদের নামকরণের পদ্ধতি, প্রক্রিয়া বা যাবতীয় লোকাচার সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে বা বাঙালি কোন নামই আজকের দিনে শোনা যায় না বরং বলা যায় মিল এবং নতুনত্ব খুঁজে পাওয়া যায় এই ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে। শুধুমাত্র যে প্রযুক্তির কারণেই সব পরিবর্তন হয়েছে তা নয়, বরং সাংস্কৃতিক পরম্পরার জন্য অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে সেই জন্যেই প্রাচীনকালের আঁতুঘর আজকের হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। কারণ লোক সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জায়গার সংস্থান কমে গেছে তাই প্রত্যেকের বাড়িতে আতর ঘর করার মতন যথেষ্ট জায়গা নেই বরং হাসপাতালে একই সঙ্গে অনেক মহিলাকে রাখার সুব্যবস্থা আছে।
গর্ভাবস্থায় এবং জন্মের বিভিন্ন বাঙালি ঐতিহ্য যুগের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়েছে এই পরিবর্তন বোঝার জন্য কিছু উদাহরণ খুবই উপযোগী। ১৯৪৪ সালে যুগটা এরকমই ছিল যেখানে একটি মেয়ের ১৫ বছর বয়স হতে না হতেই বিয়ে হয়ে যেত এবং এগারোটা বাচ্চা হওয়াও কোন বড় ব্যাপার ছিল না এই সময়ে বাঙালি সমাজে হাসপাতালের অস্তিত্বই ছিল না বা কোন প্রসবই হাসপাতালে হত না গর্ভধারণ করা থেকে বাচ্চার জন্ম এবং তার বেড়ে ওঠা পুরোটাই হত বাড়িতে যেখানে জন্মের পুরো বিষয়টা নিয়ন্ত্রিত হতো ধাই মা দ্বারা আঁতুঘরে। তাই এই সময়ে অন্য সবকিছুর থেকে বিভিন্ন ধরনে
Yes
No
Written by
Atreyee Mukherjee
Get baby's diet chart, and growth tips
বাঙালি মাতৃত্ব এবং তার ঋণাত্মক প্রভাব
প্রসবকালীন আচার - প্রারম্ভিক পর্ব
সি-সেকশনের কত সময় পর আপনার যৌন মিলন করা উচিত?
পুত্রের থেকে মা-র সম্মান
পাইলোনাইডাল সিস্ট কী? এর কারণ, চিকিৎসা ও উপসর্গ
গর্ভাবস্থায় কেন আপনার সাবুদানা খাওয়া উচিত?
Mylo wins Forbes D2C Disruptor award
Mylo wins The Economic Times Promising Brands 2022
At Mylo, we help young parents raise happy and healthy families with our innovative new-age solutions:
baby test | test | baby lotions | baby soaps | baby shampoo |